প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১০:১৭ এএম
ফিলিস্তিনের গাজার একটি হাসপাতাল থেকে অন্তত ২৪০ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক ও মেডিকেল স্টাফরাও রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সুফিয়া আটকের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ শুক্রবার আটকের কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি পাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা সুফিয়াকে মারধর করেছে।
অপরদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, হাসপাতালটি হামাসের সামরিক অভিযানের কাজে একটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল এবং যাদের আটক করা হয়েছে তারা সন্দেহভাজন জঙ্গি। আর আবু সুফিয়াকে হামাসের সদস্য বলে সন্দেহ করায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সদরদপ্তরের পাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়। হামলার শিকার ভবনটিতে হাসপাতালের মেডিকেল স্টাফ ও অন্য কর্মীরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে সাড়ে ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।