প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১, ০৬:৪১ পিএম
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে লঞ্চ চলাচল
হঠাৎ করেই বন্ধ করে
দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় জরিমানা করলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ
৩০ মিনিট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এতে মুহূর্তের মধ্যে ফেরিঘাটে জড়ো হন কয়েক
হাজার যাত্রী। এতে একইভাবে অতিরিক্ত
যাত্রী ওঠেন ফেরিতে।
রোববার
(১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক
পরিবহনে চালু হয়েছে লঞ্চ
চলাচল। সোমবার (২ আগস্ট) সকাল
৬টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাংলাবাজার
ঘাট লঞ্চমালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সরকারের
উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা
করে মালিক সমিতি। বেলা পৌনে ১১টার
দিকে তারা লঞ্চ চলাচল
বন্ধ করে দেয়।
লঞ্চমালিকদের
অভিযোগ, শিমুলিয়া ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী
বহন করার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ
জেলা প্রশাসন ৯টি লঞ্চকে পাঁচ
হাজার টাকা করে জরিমানা
করে।
লঞ্চমালিক
সমিতির নেতারা বলেন, ‘বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের
প্রচণ্ড চাপের কারণে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা দুষ্কর হয়ে
পড়ে। বাংলাবাজার ঘাটে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই
যাত্রী তোলা হচ্ছে। তার
পরও শিমুলিয়া ঘাটে জরিমানার শিকার
হতে হয়। তাই লঞ্চ
চলাচল বন্ধ করে দেয়
মালিক সমিতি।’
এ
দিকে হঠাৎ করেই লঞ্চ
চলাচল বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে
পড়েন ঘাটে অপেক্ষমাণ ঢাকামুখী
যাত্রীরা। সকালে যেখানে ফেরিগুলো শুধু যানবাহন পারাপার
করছিল, মুহূর্তের মধ্যে ফেরিঘাটে জড়ো হন কয়েক
হাজার যাত্রী। ফেরি ক্যামেলিয়া তাই
ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড় করে যাত্রী বোঝাই
হয়ে যায়।
বেলা
সাড়ে ১১টায় কোনো যানবাহন ছাড়াই
শুধু যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের
উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরিটি।
এমনকি যাত্রীচাপে ঘাটে থাকা দুটি
অ্যাম্বুলেন্সও তুলতে পারেনি।
বাংলাবাজার
ঘাটের বিআইডব্লিটিএ’র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, শিমুলিয়া প্রান্তে লঞ্চে জরিমানা করার কারণে ৩০
মিনিট লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ছিল। কিন্তু ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীর
চাপে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বেলা সাড়ে
১১টার দিকে আবার সব
লঞ্চ চালু করে মালিক
সমিতি।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ
বলেন, ‘সকাল থেকে লঞ্চ
চালু হলে যাত্রীচাপ কিছুটা
কম ছিল। হঠাৎ করে
বেলা ১১টার দিকে লঞ্চ চলাচল
বন্ধ করার পর ফেরিতে
যাত্রীদের মারাত্মক চাপ বেড়ে যায়।
ফেরিতে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন পার
করা হচ্ছে না।’
সম্রাট/নূর/এম. জামান