প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১, ০৫:২৫ পিএম
দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর
প্রকোপ। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু
জ্বরের বাহক এডিস মশা
নিধনে চিরুনি অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম
চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশন। সেই কার্যক্রম সরেজমিনে
পরিদর্শনকালে মেয়র মো. আতিকুল
ইসলাম বলেছেন, দিয়াবাড়ির প্রতিটি ফ্ল্যাটের কমোডের মধ্যেই এডিস মশার লার্ভার
চাষ হচ্ছে।
রোববার
(১ আগস্ট) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেছেন, ‘অত্যন্ত
দুঃখজনক ব্যাপার, আমরা রাজউকের যে
জায়গায় আছি এটা দিয়াবাড়ি।
এখানে প্রতিটি ফ্ল্যাটের কমোডের মধ্যেই লার্ভার চাষ হচ্ছে। প্রতিটি
বাড়ির পেছনে লার্ভার চাষ। এ জন্য
অবশ্যই রাজউককে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনে
যেটা হবে অবশ্যই পানিশমেন্ট।
রাজউক হোক আর যে
হোক দায়িত্ব নিতে হবে।’
ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোয়াদুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।
আতিকুল
ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে জায়গায়
আছি এটি ডিএনসিসির ৫২
নং ওয়ার্ড উত্তরা ১৮ নং সেক্টর।
এটি এখনও রাজউকের অধীনে
আছে, পুরো প্রজেক্টই। এখানে
প্রায় ৭ হাজার ফ্ল্যাট
আছে। এখানে অনেকে ফ্ল্যাট কিনেছে, কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের প্রতিটি
কমোড খোলা এবং প্রতিটি
কমোডের মধ্যেই মোটামুটি লার্ভার চাষ হচ্ছে।’
তিনি
বলেন, ‘এখান থেকে অনেক
রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান
যার নাম হচ্ছে রাজউক।
তার দিয়াবাড়ি প্রজেক্টে ৭ হাজার ফ্ল্যাট
হচ্ছে। এখান থেকে তো
রাজউক প্রফিট পাচ্ছে, পয়সা পাচ্ছে। তারা
লাভবান হচ্ছে। এখানে প্রায় ১০ হাজার কোটি
টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই জায়গায় ৬
জন লোক রয়েছে। এই
৬ জন লোক যদি
প্রতিদিন পরিষ্কার করে তাহলে কিন্তু
অসুবিধা হয় না।’
মেয়র
বলেন, ‘এখানে আবার একজনের দায়িত্ব
আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দেন।
তারা কেউ দায় নেয়
না। এটা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য।
এ জন্য অবশ্যই আইনে
যেটা হবে পানিশমেন্ট। রাজউক
হোক আর যে হোক
দায়িত্ব নিতে হবে। আমার
বাড়িতেও যদি এডিসের লার্ভা
পাওয়া যায় আমারও শাস্তি
হবে এটি যেমন সত্যি
তেমনি রাজউক হোক আর যেই
হোক দায় নিতে হবে।
মহামারির মধ্যে মড়ার উপর খাঁড়ার
ঘা ডেঙ্গু। এই ডেঙ্গু মোকাবিলায়
সবাই এগিয়ে না এলে সিটি
করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব
নয়।’
জেডআই/এম. জামান