প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৬:২১ পিএম
গ্রামে গ্রামে টিকাদান পৌঁছাতে আগামী ৭ আগস্ট থেকে
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু
হবে। এতে প্রথম এক
সপ্তাহে এক কোটিরও বেশি
টিকা প্রয়োগের টার্গেট নিয়েছে সরকার। প্রথমেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে বয়স্ক
মানুষদের। কেউ নিবন্ধন করতে
না পারলেও সমস্যা হবে না। এনআইডি
নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা নেয়া
যাবে।
শনিবার
(৩১ জুলাই) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে এসব কথা
জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি
বলেন, ‘এখন টিকা মজুদ
আছে যথেষ্ট। আমরা গ্রামগঞ্জে টিকা
কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী
৭ আগস্ট থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন
পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু
করব। আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে
টিকা কেন্দ্র খুলেছি। টিকা দেয়া শুরু
করব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা এবার প্রথমেই
বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার চেষ্টা
করব। যারা বয়স্ক তারা
আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি এবং মৃত্যুবরণও
বেশি করছেন। সে কারণেই এই
টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে
যাচ্ছি।’
বয়স্কদের
আগে থেকে নিবন্ধনের প্রয়োজন
হবে না জানিয়ে তিনি
বলেন, ‘তারা যদি এনআইডি
কার্ড সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে চলে
আসেন, তাহলে আমরা তাদের টিকা
দেবো। যদি এনআইডি কার্ড
না-ও থাকে তাহলে
বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা তাদের টিকা
দেয়ার কাজ হাতে নিয়েছি।’
জাহিদ
মালেক বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ থাকবে।
প্রায় ১৩ হাজার ৮০০
বুথে টিকা দেয়া হবে।
আমরা আশা করছি, আমরা
যে টিকা দেবো সেটা
এক সপ্তাহব্যাপী একটা কার্যক্রম। এর
মধ্যে এক কোটিরও বেশি
টিকা আমরা দিতে সক্ষম
হব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘এটি আমাদের টার্গেট।
অনেক বড় টার্গেট। তার
ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। প্রায়
৪০-৫০ হাজার লোক
কাজ করবে এই টিকা
কর্মসূচিতে।’
মোশাহিদ/সম্রাট/এম. জামান