প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০১:২৬ এএম
মিরপুরে
ঘুমের ওষুধ না দেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার সেন্টার নামে একটি বৃদ্ধাশ্রমে হামলা
চালিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গত সোমবার মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়া
ডি-ব্লকের ৮ নম্বর রোডের ৪৬২ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক দিন পর মঙ্গলবার
মিরপুর ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি বিপুলসহ ১০ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায়
মামলা করা হয়।মামলার বাদী চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার সেন্টারের সভাপতি ও পরিচালক মিল্টন
সমদ্দার।
এদিকে
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ছাত্রলীগ নেতা বিপুলসহ ৫ জনকে বহিষ্কার
করেছে মিরপুর থানা ছাত্রলীগ। শুক্রবার মিরপুর থানা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিঞ্জপ্তিতে
এ তথ্য জনানো হয়।
মামলায়
বিপুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন মো. গাজী রাহাত, তাপস, বিপুল, সুজন, আলামিন, রিয়াজ, শুভ,
বাপ্পি, নুরা ও আ. আওয়াল।
মামলার
অভিযোগে জানা যায়, ২৬ তারিখ সোমবার বিকালে মামলার প্রধান আসামি গাজী রাহাত বৃদ্ধাশ্রমের
ম্যানেজার মিরাজের কাছে ঘুমের ওষুধ চান। মিরাজ ঘুমের ওষুধ নেই বলে জানান। এ কথা শুনে
রাহাত ক্ষিপ্ত হয়ে মিরাজকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। রাহাত যাওয়ার সময় মিরাজকে উদ্ধেশ্য
করে বলতে থাকে- বৃদ্ধাশ্রম চালাতে হলে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। মিরাজ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে
প্রতিষ্ঠানের মালিক মিল্টনকে মোবাইল ফোনে জানান।
এর কিছু সময় পর মিল্টন সেখানে উপস্থিত হন।
রাহাত
এক সময় সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান মিরপুর থানা
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আতাউর রহমান।
এদিকে
ঘটনার দিন বিকালেই গাজী রাহাতসহ ছাত্রলীগ নেতা বিপুল ও তার বাহিনীর ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য
বৃদ্ধাশ্রমে হামলা করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আ. হাকিম, মিরাজ, হামিদুল আরিফসহ
অনেকে হতাহত হন।ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলার দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও
করতে গেলে হামলাকারীরা পুলিশের হাত থেকে মোবাইল
ছিনিয়ে নেয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার এসআই রহমত উল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত ৩ জনকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
তরিকুল