নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত সিএনজি চালক আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দুই ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা, শাহদাত হোসেন ও কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের ওরফে তাসকিকসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান প্রাথমিক শুনানি শেষে বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। এ সময় বিচারক বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, শটগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়।
এ সময় মামলার চার নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলাউদ্দিনের পেটে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এরপর পাঁচ নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে ছয় নম্বর আসামি মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন তার হাতে থাকা লোহার রড তার পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
পরে হামলাকারীরা চলে গেলে আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এএএম
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন