• ঢাকা বুধবার
    ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

রাখাইনে ‍‍`করিডর‍‍` ইস্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া, সরকারের নতুন ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

রাখাইনে ‍‍`করিডর‍‍` ইস্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া, সরকারের নতুন ব্যাখ্যা

সিটি নিউজ ডেস্ক

গৃহযুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে ‍‍`মানবিক করিডর‍‍` দেওয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

দেশে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যুতে অর্ন্তবর্তী সরকার কিসের ভিত্তিতে এবং কোন প্রক্রিয়ায় ‍‍`মানবিক করিডর‍‍` প্রদানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

"সরকারের উচিত ছিল, দায়িত্ব ছিল এই বিষয়টা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা," বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ধরনের সিদ্ধান্তে দেশের ‍‍`স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির‍‍` মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিষয়টি নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারাও সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।

এদিকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে ‍‍`হিউম্যানিটারিয়ান প্যাসেজে‍‍`র বিষয়ে নীতিগত সম্মতির কথা উল্লেখ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে এখন ভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরছে সরকার।

"আমরা এটা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার তথাকথিত ‍‍`মানবিক করিডর‍‍` নিয়ে জাতিসংঘ অথবা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেনি। রাখাইন রাজ্যে যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সাহায্য দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে রাজি হবে, এটাই আমাদের অবস্থান," মঙ্গলবার বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

তবে সরকার যদি ত্রাণ পাঠাতে ‍‍`লজিস্টিক সাপোর্ট‍‍` দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে সহায়তাটি কেবলমাত্র বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

"আমরা মিয়ানমারের মাটিতে ঢুকবো না। যতটুক সহায়তা দেয়ার বাংলাদেশের ভেতরেই দেয়া হবে," জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানের অফিস থেকে বিবিসি বাংলাকে জানানো হয়েছে।

এছাড়া দেশের ‍‍`স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির‍‍` মুখে পড়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কোন দল কী বলছে?

রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‍‍`মানবিক করিডর‍‍` দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশের সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা করা উচিৎ ছিল বলে মনে করে বিএনপি।

"এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা জড়িত," সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক সভায় বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, "মানুষকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জাতিসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এটা হতে হবে সব মানুষের সমর্থনে।"

কিন্তু সেটা না করে সরকার "এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে" ওই করিডর দিতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

এ ধরনের সিদ্ধান্তে দেশের ‍‍`স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির‍‍` মুখে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। এতে দেশের ‍‍`স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির‍‍` মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি।

"আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আমরা আরেকটি যুদ্ধের মধ্যে জড়াতে চাই না। আমাদের এখানে এসে আরও কেউ গোলমাল করুক, সেটিও আমরা চাই না," বলেন মি. আলমগীর।

এদিকে, ‍‍`মানবিক করিডরে‍‍`র বিষয়ে সরকারের কাছে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।

"রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা বিষয় জড়িত থাকতে পারে," সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পোস্টে লিখেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

একই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

"অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তামূলক নীতি গ্রহণে অবশ্যই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত," নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ।

তিনি আরও বলেন, "আলোচনা ব্যতিত এ ধরনের সিদ্ধান্তে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ইনটেগ্রিটি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।"

এনসিপি‍‍`র আরও বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, করিডর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।

"বাংলাদেশকে ব্যবহার করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে হেফাজতে ইসলাম কোনোভাবেই এটি সমর্থন করে না। এর নিন্দা জানাই। আমরা এর প্রতিবাদ জানাবো," মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন মি. হক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে পরিদর্শনে যান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

সরকার যা বলছে

বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত রোববার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

"নীতিগতভাবে আমরা এতে সম্মত। কারণ, এটি একটি হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ (ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য করিডর) একটা হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি রয়েছে, সেই বিস্তারিততে যাচ্ছি না। সেই শর্তাবলি যদি পালিত হয়, আমরা অবশ্যই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করবো," বলেন মি. হোসেন।

এরপর বিষয়টি নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, মানবিক করিডর নয়, বরং রাখাইনে জাতিসংঘ সহায়তা দিতে চাইলে সেটা পৌঁছাতে পরিবহনসহ লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগত সম্মতি দিয়েছে।

মঙ্গলবার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে এক চরম মানবিক সংকট চলছে বলে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে রাখাইনের ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর "একমাত্র কার্যকর পথ" হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নীতিগতভাবে জাতিসংঘকে "লজিস্টিক সাপোর্ট" প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

"এছাড়া আমরা উদ্বিগ্ন যে দুর্ভোগ অব্যাহত থাকলে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে মানুষের প্রবেশ আরও বেড়ে যেতে পারে, যেটা আমরা বহন করতে পারছি না," লিখেছেন মি. আলম।

সীমান্ত দিয়ে আবারও ঢুকছে রোহিঙ্গা, ২ দিনে ৮০০ জনের অনুপ্রবেশ

তবে সাহায্য প্রদানের বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

"সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আমরা এ বিষয়ে যোগাযোগে রয়েছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করবো," লিখেছেন মি. আলম।

এ বিষয়ে বিএনপি‍‍`র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন যে, সরকারের কাছ থেকে আলোচনার ডাক পেলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলের অবস্থান তুলে ধরবেন।

"তার আগে সরকারকে আমাদের বোঝাতে হবে যে, কোন কোন শর্তে এটা দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের কী লাভ হবে? এরপর দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা করে আমরাএকটা সিদ্ধান্ত নিবো," বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. খান।

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাতে বহু ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে

আলোচনাটি যেভাবে এলো?

আরাকান বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত বছর ১৪ই ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‍‍`রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক বিবেচনাসমূহ‍‍` শিরোনামের একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তৃতায় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগের একটি ধারণা দিয়েছিলেন।

ওই আলোচনা সভাতেই সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য ব্যবসা–বাণিজ্য করা ও মানবিক করিডর খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এর পর মার্চের শুরুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাখাইনের যুদ্ধবিধ্বস্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মির মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা করা উচিত বলে মন্তব্য করে।

এর কয়েকদিন পরেই জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঢাকায় আসেন ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তখন রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি করিডর চালু করতে বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব দেয় জাতিসংঘ।

আটই এপ্রিল ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিকল্প না থাকার কথা তুলে ধরেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে কী করা হচ্ছে

তিনি বলেন, "বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র চ্যানেল, যার মাধ্যমে এটা করা সম্ভব। কারণ, রাখাইনের উপকূল এখনও তাতমাদোর (জান্তা বাহিনী) দখলে এবং অন্যান্য জায়গা দিয়ে সহজে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব নয়।"

তিনি তখন জানিয়েছিলেন যে, মানবিক চ্যানেল (প্রস্তাবিত করিডর) তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে জাতিসংঘই আলোচনায় বসাচ্ছে আর আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করছে বাংলাদেশ।

এক্ষেত্রে আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনায় জাতিসংঘকে মাঝামাঝি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় ‍‍`হিউম্যানিটারিয়ান চ্যানেলে‍‍` বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রথম এসেছিলো।

মি. রহমান বলেছিলেন, আরাকান আর্মি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকার- সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে গিয়েছিলেন তিনি।

রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে? - BBC News  বাংলা

পরদিন নয়ই এপ্রিল মি. রহমানকে একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও নিয়োগ দিয়ে সরকার জানায়, এখন থেকে তার পদবি হবে ‍‍`জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ‍‍`।

এরপর রবিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন যে, সরকার হিউম্যানিটারিয়ান প্যাসেজ বা করিডরের প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, প্রভাবশালী পশ্চিমা কয়েকটি দেশ দীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশের কাছে এমন একটি করিডরের পরামর্শ বা প্রস্তাব দিয়ে আসলেও রাজনৈতিক সরকারগুলো ভূ-রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় তাতে কখনো সায় দেয়নি।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ