
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও বেশকয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে মামলার আসামিদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, পারভেজ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরাজ ইসলামের সাথে সংগঠনটির সোহান ও তুষারও জড়িত। এ সময় হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অন্যদিকে, রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ছাত্রদলের এমন অভিযোগের তীব্র নিন্দাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীকে দায়ী করছে ছাত্রদল। তারা হত্যার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন।
মৃত ব্যক্তিকে ছাত্রদল ব্যবহার করছে উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, এর আগে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে ‘দায় দিয়ে দাও’ সংস্কৃতির প্রচলন দেখেছি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেই সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনও ব্যক্তির বরাতেও তুষার এবং হৃদয়ের কথা পাওয়া যায়নি। ছাত্রদলের এমন কার্যক্রম নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কাম্য নয়। এছাড়া, প্রমাণ ব্যাতীত দুই নেতার নাম জড়িয়ে ফেসবুকে মব ট্রায়াল চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।