• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

চোখ-কান খোলা রাখলেই বাড়তি দামে লঞ্চের কেবিন!

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০৯:৩৭ পিএম

চোখ-কান খোলা রাখলেই বাড়তি দামে লঞ্চের কেবিন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোরবানির ঈদ উদযাপনের জন্য শিথিল করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। চলছে সব ধরনের গণ ও দূরপাল্লার পরিবহন। তাই সদরঘাটের লঞ্চঘাটগুলোতে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সেই সঙ্গে ফুটে উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে চলাচলের বিপজ্জনক চিত্র।

এক দিকে লঞ্চের টিকিট না পেয়ে ডেকে গাদাগাদি করেই রওনা হয়েছেন অনেকে। অপর দিকে বাড়তি টাকা দিলেই মিলছে লঞ্চের কেবিন। এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর লঞ্চঘাট সরেজমিন ঘুরে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভাণ্ডারিয়ার তুষখালিগামী যাত্রী সাব্বির মিথুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি সিটি নিউজকে জানান, কোনো ধরনের টিকিট না কেটে আমি ঘাটে চলে আসি। ভাণ্ডারিয়ার লঞ্চ দেখে এখানে এসে দাঁড়াতেই একজন এসে আমাকে বলে- কেবিন আছে লাগবে নাকি? রাজি হয়ে গেলে বাড়তি ভাড়ায় সেটি আমি পাই।
কত দাম রেখেছে জানতে চাইলে মিথুন বলেন, নরমাল টাইমে স্টাফ কেবিন ৮০০-১০০০ টাকা ভাড়া। আমার কাছে চেয়েছিল ২২০০ টাকা। আমি যেখানে উঠেছি সেটা মাস্টার কেবিন। নরমাল সময়ে এই কেভিনের ভাড়া ৫০০-৬০০ রাখে। আজ নিয়েছি ১২০০-তে।

লঞ্চের নাম পুর্বাসা-৭। সেখানে ঘুরতে দেখে আরেক স্টাফ এগিয়ে এসে জানতে চাইলেন- ‘কেবিন লাগবে কি না?’ এখন কেবিন পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চোখ-কান খোলা রাখলেই পাওয়া যাইবে তো অবশ্যই, কিন্তু টাহা লাগবে ডবল। রাজি থাকলে কন আমি চাবি দেতে আছি।’
তার নাম জানতে চাইলে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন এই স্টাফ।

লঞ্চে যাতায়াত করা যাত্রীরা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এ দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপও নেই।

তুষখালিগামী আরেক যাত্রী আনাস সিটি নিউজকে বলেন, ‘আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছি এখানকার স্বাস্থ্যবিধির অবস্থা দেখে। কারও মাঝেই এসব মেনে চলার প্রবণতা নেই। গাদাগাদি করে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, অধিকাংশের মুখে মাস্কও নেই।’

লঞ্চঘাটে নিয়মিত টহলে রয়েছে নৌপুলিশ। তারা যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার  ব্যাপারে আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? রাকিব নামে কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হলে তিনি সিটি নিউজকে বলেন, ‘আমরা হ্যান্ড মাইক, মুখে নানাভাবে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান ও অনুরোধ করছি; কিন্তু এ বিষয়ে কেউ সিরিয়াস না। আমরা আর কী-ই বা করতে পারি! 
 
এনএইচ সাগর/এম. জামান
আর্কাইভ