• ঢাকা বুধবার
    ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

গ্যাস বিস্ফোরণে স্ত্রী সন্তানের পর মারা গেলেন সোহাগও

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

গ্যাস বিস্ফোরণে স্ত্রী সন্তানের পর মারা গেলেন সোহাগও

সিটি নিউজ ডেস্ক

স্ত্রী সন্তানের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণে দগ্ধ সোহাগও (২৫)। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জনে।

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.শাওন বিন রহমান। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগ মারা যায়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এর আগে, গত ৯ মার্চ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান সোহাগের স্ত্রী রূপালী।তার শরীরের ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ৮ মার্চ মারা যায় রুপালী সোহাগ দাম্পতির ১৮ মাস বয়সী শিশু সন্তান সুমাইয়া। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ছাড়াও, ৭ মার্চ মারা যায় হান্নান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গত ৩ মার্চ ভোররাতের দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন-রিকশাচালক মো. হান্নান (৫৫), ও তার পোশাককর্মী স্ত্রী নুরজাহান আক্তার লাকী (৩২), তাদের ছেলে সাব্বির (১২), মেয়ে সামিয়া (১০) ও জান্নাত (৫)। আরেক পরিবারের সোহাগ (২৫), তার স্ত্রী রুপালি বেগম (২২) ও তাদের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৮ মাস)। তাদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ , শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ ,রুপালির ৩৪ শতাংশ , সাব্বিরের ২৭ শতাংশ , নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ , সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ