• ঢাকা শুক্রবার
    ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: বিজিবি প্রধান

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: বিজিবি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত। আমরা দুর্গাপূজার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পূজা প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তা দিয়েছিলাম এবং সেই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়েও কঠোর বার্তা দেন তিনি। আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, কোনো পক্ষই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না। কোনো পক্ষেরই অনুমতি নেই।  ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেওয়া হলে যোগাযোগের শূন্যতা দেখা দেয়।

এ ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়েছে এবং যথাযথ পরামর্শ ও পারস্পরিক আলোচনা হওয়া দরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

বিজিবি প্রধান বলেন, আমরা ভবিষ্যতে এ বিষয়টি সমাধান করার আশা করছি, যাতে নোম্যানস ল্যান্ডে নির্মাণ কাজ করা যায়।

তিনি বলেন, বর্ডার এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত ১৯৭৫ সালের ধারা পরিবর্তনের কোনো আলোচনা হয়নি। এটি এই বৈঠকে আলোচনা সম্ভব নয়। শূন্য রেখা থেকে কতটা পিছিয়ে বেড়া দিতে হবে, তা সবসময়ই আলোচনার অংশ। আমরা এই অবস্থানগুলোতে যৌথ পরিদর্শনের অনুরোধ করেছি।

অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ফোর্স পেয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত উপায়ও রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা।

বিএসএফের ডিজি বলেন, আমাদের সিস্টেমের প্রতিটি এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে, যাতে আমরা সীমান্তে যেকোনো অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।

বিএসএফ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও উন্নত করার জন্য এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।

এই দ্বি-বার্ষিক আলোচনার সর্বশেষ আয়োজনটি গত বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ