![CityNews Dhaka](https://www.citynewsdhaka.com/media/common/logo-new-red.png)
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১০:১৪ এএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আতঙ্কের নাম ‘কবজি কাটা’ গ্রুপ। এ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার। ১০-১২টি কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রক এই আনোয়ার তার বাহিনী দিয়ে লোকজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। কেটে নেন হাতের কবজি। আর এরপর সেই কবজি দিয়ে বানান টিকটক ভিডিও বানান।
কিশোর চক্রের ২ শতাধিক সদস্য দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও রায়েরবাজার এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির রাজত্ব। উত্থানের ২০ বছর পর সোমবার রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে দুই সহযোগীসহ শুটার আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, আনোয়ারের নাম করে বিভিন্ন শিশু-কিশোর ধারালো চাপাতি দিয়ে মানুষ কোপাচ্ছে। আর এগুলোর প্রশিক্ষক কবজি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার নিজেই। এরপর ওই বাহিনীকে ছিনতাই-চাঁদাবাজিতে নামানো হতো। চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে বাধা দিলে কুপিয়ে কেটে ফেলা হতো হাতের কবজি। সেই কবজি দিয়ে বানাতো টিকটক।
জানা গেছে, ট্রাকস্ট্যান্ডের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০০৫ সাল থেকে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আনোয়ার।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘আনোয়ার প্রথমে তার বাহিনী দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে। পরে এমনভাবে সড়কে তার বাহিনীর সদস্যরা ঘোরাফেরা করে যেন মনে হয় পুলিশের পাশাপাশি যানজট কমাতে তারাও কাজ করছে। পরে যানজট লেগে গেলে পেছনের দিকে গাড়িতে ছিনতাই বা হত্যার মতো ঘটনা ঘটায় তার বাহিনীর সদস্যরা।’
সাত থেকে আটজনের কবজি কেটে হয়েছেন কবজি কাটা আনোয়ার। রয়েছে হত্যাসহ ১৩টি মামলা।
র্যাব কর্মকর্তা মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, ‘মোহাম্মদপুরকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রয়েছে, আশা করছি দ্রুত আমরা তা বন্ধ করে দিতে সক্ষম হবো। যত বড় কিলার হোক, সন্ত্রাসী হোক, মোহাম্মদপুরে কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম থাকতে দেওয়া হবে না।’
আনোয়ার গ্রূপের সদস্য ছাড়াও গত ৬ মাসে মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় পাঁচ শতাধিক ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।