প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম
জুলাই অভুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র নেতাদের ৩ জন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অন্তবর্তী সরকারে। বাকিরা মাঠে। ছাত্ররা ফেব্রুয়ারিতে গঠন করতে যাচ্ছেন নতুন রাজনৈতিক দল। এতে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার কতটা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে— এ নিয়ে প্রশ্ন আছে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর।
এদিকে, তথ্য উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামো নিয়ে নানা ফর্মুলা আছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এক্ষেত্রে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। দল গঠন করলে সরকারে থাকবে না উপদেষ্টারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দল গঠনে যারা বাইরে আছে, তারাই কার্যক্রমের সাথে জড়িত। কিন্তু দল গঠনে আমরা কেউ যদি যুক্ত হতে চাই, শুধু নতুন দল না, অন্য কোনও দলেও যুক্ত হতে চাইলে আমরা সরকার থেকে বের হয়ে গিয়ে এটা করবো।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রুপরেখা নিয়ে? এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন নাকি রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে?
নাহিদ ইসলাম বলেন, নানা ধরনের প্রস্তাবনা আসছে, সবাই মিলে এগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। হয়তো এটা ঠিক হবে আমরা এখন সরকারের কোনও কিছু পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন মনে করতেছি না। যে অবস্থায় আছে, তারা যথেষ্ট নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেছে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে হয়তো সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তথ্য উপদেষ্টা মনে করেন, আগামী জুলাই-আগষ্টে নির্বাচনের দাবিতে কঠোর অবস্থান নেই রাজনৈতিক দলগুলোর। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনী টাইম লাইনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বললেন, বিএনপি তো এই বছরের মাঝামাঝি এভাবে বলছে না। হয়তো এক-দুইবার বলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা সময়রেখা দিয়েছেন, মোটামুটি আমরা সেটাকে ধরেই আগাচ্ছি। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো সেটার সাথে সহমত পোষণ করবে।
নির্বাচনের কার্যক্রম থেমে নেই জানিয়ে তিনি এ-ও বলেছেন, ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে অন্তবর্তী সরকার।