• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৪ মার্চ, ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

সড়কের পর রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

সড়কের পর রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কলেজের সামনে সড়ক অবরোধের পর এবার রেললাইন বন্ধ করে দিয়ে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে এসে শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করেন।

মিছিলকারীদের সঙ্গে থাকা অনশনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রেলগেটে অবস্থানের কারণে রেল চলাচল বন্ধের পাশাপাশি জাহাঙ্গীর গেট থেকে বনানী-গুলশান রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের। তবে, মহাখালী থেকে যেসকল যানবাহন বনানী/কাকলীর দিকে বা বনানী কাকলী-উত্তরা থেকে সোজা মহাখালীমুখী যানবাহন চলাচল করতে পারলেও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এরআগে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কলেজের সামনে মহাখালী–গুলশান সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ১০ শিক্ষার্থীর অনশনও চলছে।

শিক্ষার্থীরা সড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে অবরোধ তৈরি করে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে টানা পঞ্চম দিনের মতো কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে যাতায়াতকারীরা। এর প্রভাবে ভোগান্তি ছড়িয়ে পড়েছে নগরের অন্য এলাকায়ও।

আন্দোলনকারীরা জানান, মোট ১০ জন শিক্ষার্থী অনশন করছেন। এর মধ্যে ৬ জন আমরণ অনশন করছেন। বাকি ৪ জন গণ-অনশন করছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে আছেন। দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

এরআগে গতকাল রোববার রাতে আজকের অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত মহাখালী, আমতলী, রেলগেট ও গুলশান লিংক রোড। অনির্দিষ্টকালের জন্য তিতুমীর কলেজ শাটডাউন থাকবে। একই সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর চালিয়ে যাওয়া অনশন কর্মসূচিও চলবে।

আন্দোলনকারীরা তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ তিন দফা দাবিও জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে কদিন ধরেই উত্তাল কলেজ ক্যাম্পাস। বিশ্ব ইজতেমার কারণে রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে কর্মসূচি চললেও বিকেলে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী-বনানী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী সড়কে অবস্থান নেন তারা। রাতে এক পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন তারা। পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সড়কে রয়েছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সড়ক অবরোধের কারণে ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমরণ অনশনের ষষ্ঠ দিন পার করছেন তিতুমীর কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অসুস্থ কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

আর্কাইভ