প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৭:২৪ পিএম
কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল
করায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে
অভ্যন্তরীণ ৪৩টি নৌপথে নৌযান
চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে লঞ্চ মালিক ও
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে ছিল।
কিন্তু মাস্ক পরা ও সামাজিক
দূরত্ব মানতে একটু অনীহা লক্ষ
করা গেছে।
বিধিনিষেধের
আগে থেকে বন্ধ থাকায়
দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ
থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৫
জুলাই) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে
অভ্যন্তরীণ ৪৩টি নৌপথে নৌযান
চলাচল শুরু হয়েছে।
টার্মিনাল
ঘুরে দেখা গেছে, সকাল
থেকেই সদরঘাট প্লাটুনে ছিল যাত্রীদের ভিড়।
দেশের ৪৩ রুটে চলাচল
করা লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপে অতিরিক্ত লঞ্চ
সংযোজন করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
তবে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কঠোর অবস্থানে
থাকলেও উদাসীন যাত্রীরা। সঠিক নিয়ম মানছেন
না কেউ। অনেককেই মুখের
নিচে মাস্ক নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। সামাজিক
দূরত্ব বারবার প্রচারণা চালিয়েও মানানো যাচ্ছে না।
এ
দিন লঞ্চ মালিক ও
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও
মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য কাজ করতে
দেখা গেছে। টার্মিনালে মাইকে বারবার প্রচার করা হচ্ছে লঞ্চে
প্রবেশের সময় যাত্রীদের হাতে
জীবাণুনাশক স্প্রেসহ যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত করতে হবে। এ
ছাড়া অনেক লঞ্চে প্রবেশের
সময় যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দেয়া
এবং শরীরের তাপমাত্রা মেপে যাত্রীদের লঞ্চে
উঠাতে দেখা গেছে।
এ
বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সদরঘাট থেকে
লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের
অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বিশেষ
লঞ্চ সংযোজন করা হয়েছে। যাত্রীদের
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রচারণাসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে টার্মিনালে। নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক ছাড়া
যাত্রী পরিবহন করলে ও অতিরিক্ত
যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়লে
আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই লঞ্চ মালিকের
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
চাঁদপুর
থেকে রফ রফ-১
ও সোনার তরী-২ লঞ্চ
যাত্রীদের নিয়ে সদরঘাট আসে।
সেখানকার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, ভোরে চাঁদপুর থেকে
দুটি লঞ্চে প্রায় ৪ থেকে ৫
হাজার যাত্রী নিয়ে এসেছে। লঞ্চের
ভেতর ও বারান্দায় তিল
পরিমাণ জায়গা ছিল না।
এ
বিষয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির
সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি
মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে
লঞ্চ ছাড়ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সব লঞ্চ মালিকদের
বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে কর্তৃপক্ষ যদি
কোনো জরিমানা করে তাহলে আমাদের
কিছু করার থাকবে না।
আমরা এবার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে
কঠোর অবস্থানে আছি।'
সম্রাট/সবুজ/এম. জামান