নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘প্রতিটি স্টেশনে থামে লোকাল ট্রেন। থামার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ যাত্রী ওঠে। ফলে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা একটু কঠিন।’ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘লোকাল ট্রেনের স্বাস্থ্যবিধি না মানার আশঙ্কা আমাদেরও ছিল। কারণ লোকাল ট্রেন প্রতিটি স্টেশনে থামে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ যাত্রী ওঠে। এটা বন্ধ করা গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা একটু কঠিন। তবে ট্রেনকে আমরা একটা আধুনিক প্রযুক্তির যুগোপযোগী মানসম্মত সেবা দেয়ার জন্য শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করার। রেলের পরিবারে প্রত্যেক সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে মানুষ উঠে যায়। এটা বন্ধ করার মেকানিজম আমাদের নেই। সুতরাং স্টেশনে ঢোকা যদি যাত্রীদের কন্ট্রোল করা যায় যে অভিযোগগুলো আসছে সেগুলো আর থাকবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাসে ভাড়া বাড়ানো হলেও ট্রেনে কোনো ভাড়া বাড়েনি। তবে কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় হয় আর সেটা আমরা ধরতে পারি এবং বুঝতে পারি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে ভোগান্তি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অস্বাভাবিক কিছু না ৪০ থেকে ৫০ লাখ লোক যদি টিকিট কাটার চেষ্টা করে, ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি থাকে ৭০০ সেখানে টিকিট বিক্রি হয় ৩৫০টা; মানুষের যে চাপ সেটা তো সামাল দিতে পারা যাবে না।’
রেলে জনবলের ঘাটতি আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।’
জেডআই/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন