প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
সরকারের কাজে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তার এমন স্ট্যাটাস বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। কাছাকাছি সময়ে জুলাই আন্দোলনের আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা বিএনপির দিকে তীর ছুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম-ও।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে কোনও প্রকার সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে আমরাও। উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে। একই সাথে রাজনৈতিক দলেরও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। বিভিন্ন সরকারি/সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির/চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত।
এছাড়া, নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে বিএনপিকে নিয়ে বলেন, এই সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ই অগাস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে বিবিসি বাংলা জানতে চায়, আপনার কি ধারণা যে, এই সরকারের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসতে পারে?
জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিরপেক্ষতার প্রশ্ন আসতে পারে। কেননা, এখানে আমরা জিনিসটা লক্ষ্য করছি যে, আপনার ছাত্ররা তারা একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করার কথা চিন্তা করছেন। সেখানে যদি ছাত্রদের প্রতিনিধি এই সরকারে থাকে, তাহলে তো নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না। ওইটা হচ্ছে, সম্ভাব্য কথা। কিন্তু যদি তারা মনে করে যে, (সরকারে) থেকেই তারা নির্বাচন করবেন, তাহলে তো রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না।’
মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের জেরে এবার পাল্টা তীর ছুড়লেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। একই দৌড়ে নাহিদ ইসলামের পাশাপাশি হাসনাত আব্দুল্লাহকেও দেখা গেলো।