প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম, যেমন ‘দিনের ভোট আগের রাতে’ করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি কাউন্ট দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদকেও কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।
তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে। দুদকের কাছে অভিযোগ এসেছে, শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে দলটির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জড়িত। যাদের সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ বিভাগীয় কমিমনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং র্যাব-পুলিশের সংশ্লিটরা। দুদকের দাবি এ সবই হয়েছে অর্থের বিনিময়ে।’
দুদকের মহাপরিচালক বলেন ‘এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুদক। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।’