• ঢাকা রবিবার
    ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক মামলা শুনানি আজ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক মামলা শুনানি আজ

সিটি নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার শুনানি হচ্ছে আজ। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের এজলাস কক্ষে আগ্নিকাণ্ডের পর কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অস্থায়ী আদালতে জামিন শুনানি হবে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত বিচারকাজ শুরু করবেন। এদিন আসামিদের জামিন শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অস্থায়ী আদালতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ চলবে মর্মে রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৮ জানুয়ারিও একই জায়গার মামলার বিচার চলবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৯ জানুয়ারি ছিল মামলার ধার্য তারিখ।

খবর পেয়ে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত বন্ধের দাবিতে ৮ জানুয়ারি রাত থেকে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এরইমধ্যে ৯ জানুয়ারি ভোরে এজলাস কক্ষ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সেদিন শুনানি স্থগিত করেছিল আদালত। এর পর স্থান পরিবর্তন করে সেটি কেরানীগঞ্জে নির্ধারণ করা হয়।
আজ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন অস্থায়ী আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সেখানে শুনানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শুনানি উপলক্ষে ৫০ জনকে আদালতে আনা হয়েছে আর বাকীরা কেরানীগঞ্জের কারাগারে আছেন।
এদিকে, হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও সাবেক বিডিআর সদস্যদের যারা মুক্তি পাননি তাদের স্বজনদের অনেকে এখন কেরানীগঞ্জ কারাগারের মূল ফটকের বাইরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।

২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামীর বিচার শুরু হয়েছিলো ২০১০ সালে।

কিন্তু এরপর এ মামলার কার্যক্রম খুব বেশি এগোয়নি। ফলে হত্যা মামলায় খালাস পেয়ে বা সাজাভোগ শেষ করার পরে ৪৬৮ জন বিস্ফোরক আইনে করা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় মুক্তি পাননি।

আর্কাইভ