• ঢাকা রবিবার
    ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

পুলিশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে কোনো সুপারিশ নেই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম

পুলিশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে কোনো সুপারিশ নেই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে

সিটি নিউজ ডেস্ক

পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিবাচক হলেও সেখানে নেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ ও প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বাতিলের সুপারিশ। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংস্কার প্রতিবেদন বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছা জরুরি। আর অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুলিশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ না করলে সংস্কার কোনো কাজেই আসবে না।

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে আটক-গ্রেপ্তার, তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, মানবাধিকারসহ নানা সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। কোনো জনবহুল এলাকায় বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ অনুসরণের সুপারিশও করা হয়েছে।

সংস্কার নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েছিল কমিশন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে জোর দেয়। তবে সংস্কার প্রতিবেদনে নেই পুলিশের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের সুপারিশ।

সাবেক পুলিশ প্রধান নুরুল হুদা বলছেন, আইন করে এটি নিশ্চিত করা যাবে না। সদিচ্ছা থাকতে হবে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ কর্মকর্তা উভয়েরই। নুরুল হুদা বলেন, ‘পুলিশের রিফর্মসের পরে অনেক কথাবার্তা হয়েছে অনেক সময়। যেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। তার কারণ, পুলিশকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার একটা প্রবণতা দেখা যায়।’

প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বাতিল নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। যদিও পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন বলছেন, পুলিশের ভারী অস্ত্র না থাকলে অভিযান সফল হবে না।

নুরুল হুদা বলেন, ‘দুর্ধর্ষ কোনো অপরাধীকে ধরতে গেলে পুলিশের ভারী অস্ত্র থাকতে হবে। যখন কোনো জনশৃঙ্খলার বিষয় চলে আসে তখন যতদূর সম্ভব প্রাণঘাতী অস্ত্র কম থাকে তত ভালো। আবার এটাও দেখতে হবে, যে জনতাকে মোকাবিলা করতে যাওয়া হচ্ছে তাদের কাছে অস্ত্র আছে কিনা। তাদের কাছে অস্ত্র থাকলে প্রাণঘাতী অস্ত্র পুলিশের কাছে থাকতেই হবে।’

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কার প্রতিবেদনে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি না থাকা দুঃখজনক। এটি নিশ্চিত না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।

অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘পুলিশের কোনো কোনো সদস্য, তাঁর মতাদর্শের দল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তিনি পুলিশের চেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। দলকে খুশি করতে গিয়ে বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন ওই সদস্য।’

পুলিশ ৩ হাজারের বেশি আইন নিয়ে কাজ করলেও বাহিনী সংস্কারে ২২টি আইনের সংশোধন ও পরিমার্জন চেয়েছে কমিশন।

আর্কাইভ