• ঢাকা সোমবার
    ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কোপানোর নেপথ্যে কী?

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম

এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কোপানোর নেপথ্যে কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চাঁদা না দেয়ায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মার্কেটের পার্কিং ও ইন্টারনেট ব্যবসার দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় ব্যবসায়ীদের করা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কম্পিউটার সিটি-মাল্টিপ্ল্যান মার্কেট থেকে বের হন ব্যবসায়ী নেতা এহতেশামুল হক। প্রধান সড়কে এলে তার উপর হামলে পড়েন ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী। চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা।

একই সময়ে মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসান দিপু গাড়িতে করে পার্কিং থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার গতিরোধ করা হয়। গাড়িতেই চাপাতি দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। কোনো রকমে জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে যান তারা। 

এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দিপু বলেন, হামলাকারীরা হৈচৈ করে কোপাতে থাকে। বাঁচানোর জন্য চিৎকার করছিল এহতেশাম। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। আমি তখন অসহায়। আমিও মার খাচ্ছিলাম। 

জানা যায়, হাসান দিপু সুস্থ হলেও এহতেশাম এখনো চিকিৎসাধীন। ব্যবসায়ীদের উপর এমন হামলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ীরা। মার্কেট বন্ধ রেখে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকেই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন চাঁদা দাবি করছিলেন। পাশাপাশি মার্কেটের পার্কিং, পানি, ইন্টারনেট ব্যবসার দখল নিতেও উঠেপড়ে লেগেছিলেন আগের কমিটির নেতারা। 

এ বিষয়ে ওয়াহিদুল হাসান দিপু বলেন, এ ঘটনায় আমাদের আগের কমিটির ইন্ধন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসীরা এলাকায় রাজত্ব করছে। কিন্তু এই মার্কেটে তাদের রজত্ব চলে না। 

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় হামলায় অংশ নেয়া দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যত বড় সন্ত্রাসীই জড়িত থাকুক আইনের আওতায় আনা হবে। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সংশ্লিষ্টতা থাকুক বা যেই থাকুক অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। 

এদিক রোববার (১২ জানুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া উপেদষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। 

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোতে স্থায়ী দায়িত্বে কাউকে নিয়োজিত করার কথা ভাবছি। দ্রুতই আপনারা সেটা দেখতে পাবেন। স্থায়ী নিয়োগটা হয়ে গেলে যে অনিয়মগুলো হচ্ছে, সেগুলোর সমাধান হবে। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইটি মার্কেট ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ