• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১
বিডিআর হত্যাকাণ্ড

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে বিভিন্ন দাবিতে গণজমায়েত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ১১:২৯ এএম

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে বিভিন্ন দাবিতে গণজমায়েত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং বিনা দোষে চাকরি হারানো সদস্যদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন ছাত্র-জনতা।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল থেকে এসব দাবিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগানও বক্তব্য রাখছেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। 

এর আগে ৬ জানুয়ারি দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, এটা কোনো বিদ্রোহ নয়, এটি কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল। 

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহের নামে ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।

বিদ্রোহের নামে সংঘটিত ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও চিত্র উদ্‌ঘাটনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি–পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। ওই ঘটনায় হাজারো বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হয়। শুরু থেকেই ওই বিচারের নিরপেক্ষতা, উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন ছিল। বিদ্যমান ফৌজদারি আইনে আনা মামলায় নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টেও রায় হয়। এ ঘটনায় আনা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়। অপরদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। 

হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন। বিচারিক আদালতে দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে হাইকোর্টের তিন বিচারপতি সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেন। রায়ে ১৩৯ জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন। উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও ‘লিভ টু আপিল’ করা হয়েছে। 

দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে বৃহত্তম এই মামলায় বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আসামি করা হয়েছিল। এ মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির এ নেতার মৃত্যু হয়।  

আর্কাইভ