প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৯:৫১ এএম
গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারত সরকার এমন এক সময়ে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল যখন মোদি সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ‘কূটনৈতিক নোট’ পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে বাস করছেন ৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা। তাঁর অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও দিল্লির একটি নিরাপদ স্থানে তিনি আছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভারতীয় কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘ভারতে থাকার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’ তাঁর ভারতে আশ্রয়ের বিষয়টি মোকাবিলার জন্য ‘সুনির্দিষ্ট আইন নেই’ বলেও জানান তাঁরা।
ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভিসার মেয়ার বাড়ানোর বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’
হিন্দুস্তান টাইমস গত ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলেছে, শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশ সরকার যে অনুরোধ করেছে, তাতে ভারত সরকারের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই জাতীয় সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি ঢাকা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের একটি সূত্র বলেছে, বাংলাদেশের কূটনৈতিক নোটের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। আর সে কারণেই হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। কারণ ভারতে কোনো উদ্বাস্তু আইন নেই। তাই এফআরআরও–র মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক শেখ হাসিনাকে ভারতে বসবাসের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে কত দিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এ দিকে গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গুম ও হত্যায় জড়িত ২২ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই–আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও আছে।’