• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘিরে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘিরে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হতে দেখা গেছে তাদের। বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানার নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও জড়ো হতে দেখা গেছে।

বেলা ১১টার দিকে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, বেদীতে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা। মঞ্চ গোছানোর কাজ চলছে। কয়েকাটি জায়গায় এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে।

আশেপাশে মানুষজন ঘুরাফেরা করছেন। কিছুক্ষণ পর পর মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছে ছাত্র-জনতা। তাদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা, মাথায় বেঁধে রেখেছেন পতাকা সম্বলিত কাপড়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শাখার ব্যানার নিয়ে একটি দলকে আসতে দেখা যায়। তাদের মধ্য থেকে রাসেল শেখ নামে একজন বলেন, তিনি সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন। গতকাল রাতেই তারা প্রোগ্রামে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান একটি শোষণের সংবিধান। আমরা সেটি বাতিল চাই। আমাদের ওপর হামলাকারী অনেক সন্ত্রাসীদের বিচার হয়নি। অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চাই। 

মূল বেদিতে ছেলে জুবায়েদ হোসেন ইমনের হত্যার বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছেন মা জহুরা বেগম। তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে মাদ্রা‌সায় পড়তো। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।

এর আগে শনিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বা জনআকাঙ্খাকে দালিলিক রূপ দেওয়া হবে বলে জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শহীদ মিনারে সব দলমতের মানুষকে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়ক-সহসমন্বয়ক শপথ নেবেন। এ ছাড়া সেখানে ‘সেকেন্ড রিপাবলিকের’ দাবি আসবে।’

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাকে প্রাইভেট প্রোপার্টি আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায় এর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু পরদিনই আবার ঠিক রাত ৯টার কিছু পরে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে, তবে কিছুদিন পরে। সরকারের এমন ঘোষণার পর সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতেই জরুরি মিটিংয়ে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।

আর্কাইভ