প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
আগামীয় ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই দিন ৭২-এর ‘মুজিববাদী সংবিধানকে’ কবর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠন দুটির নেতারা। ।
সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণার বিষয়টি স্পষ্ট না, এতে সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সময়ে আঁকা শেখ হাসিনার একটি গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে তৈরি হওয়া সমালোচনার প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। জুলাই–আগস্টের গ্রাফিতি সংরক্ষণ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর নাৎসি বাহিনীর সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা ও মুজিববাদী ৭২–এর সংবিধানকে কবর দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘দেশের মানুষ যারা অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের আশা–আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেগুলো লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ থাকা উচিত। যেই দলিল বিগত সিস্টেমকে রিজেক্ট করবে। বিগত যেই সিস্টেমগুলোকে মানুষ গ্রহণ করেনি সেগুলোই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা হবে।’
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘২৪ এর বিপ্লব ৭১-এর মতো বেহাত হতে দিতে চাচ্ছি না। ২৪-এর আন্দোলনে সকল ধর্ম জনগোষ্ঠীর মানুষ রাজপথে নেমেছিল। সেই রাজপথে নামার লড়াই চলমান।’
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরপর একই ধরনের দুটি পোস্ট দেওয়া হয়। প্রথম পোস্টে লেখা হয়, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’ পরের পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’। একই ধরনের পোস্ট দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও।