প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
ছয় ঘণ্টার বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে সচিবালয়ে লাগা আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, সচিবালয়ের ভেতরে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ও বৈদ্যুতিক লাইনের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, আগুন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে। তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে আরও কিছু সময় লাগবে। তিনি জানান, আগুনে ৭ নম্বর ভবনটির ছয়, সাত, আট, নয়তলা পুড়ে গেছে।
ডিজি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ১৯ ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গা সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
সচিবালয়ে আগুন: ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহতসচিবালয়ে আগুন: ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহত
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ছয় ও সাততলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি, মূলত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ও বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এক সাংবাদিক ডিজিকে বলেন, একইসঙ্গে আগুন সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের পূর্ব, পশ্চিম ও মাঝের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে ডিজি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, তিন জায়গায় একসঙ্গে আগুন দেখা গিয়েছে। এটা অনেক সময় হতে পারে। বিদ্যুৎ লাইনে শর্ট সার্কিট হলে এটা হতে পারে। তবে আমরা এখন এটা কনফার্ম বলব না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে। যদি শর্ট সার্কিটের বিষয় হয়ে থাকে, একই লাইনে হয়ে থাকে তাহলে এটা হতে পারে।’
ডিজি জানান, প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পানির সংকট ছিল না জানিয়ে ডিজি বলেন, পাশের ওসমানি মিলায়নতন থেকে পানি পেয়েছি। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে গেছে। সচিবলায়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।