প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
গত দুই মাসে আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, সীমান্তে দুর্নীতি ও তদারকির দুর্বলতার কারণে রোহিঙ্গাদের ঠেকানো যাচ্ছে না।
আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা না থাকলেও সর্তক রয়েছে সরকার।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য অনেকটাই দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে চলমান অস্থিরতায় দেশ ছাড়তে শুরু করেছে অনেক রোহিঙ্গা।
এরই মধ্যে অনেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। গত দুই মাসে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা জানান, রোহিঙ্গাদের নতুন করে আশ্রয় না দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সীমান্তের দুর্বলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি কখনও কখনও এমন দাঁড়ায় যে কিছু করার থাকে না। সেরকম পরিস্থিতিতে আমরা এই ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। তাদেরকে ফরমালি ঢুকতে দিয়েছি এমনও না, তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। আরেকটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রচুর দুর্নীতি আছে আমাদের বর্ডারে, এটা অস্বীকার করার কোনো অর্থ নেই। বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ঢুকছে, নৌকা নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে। আটকানো খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
মিয়নামারের চলমান পরিস্থিতিতে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দাবি, এমন কোন তথ্য নেই সরকারের কাছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনও মনে করি না যে, আরেকটা ঢল আসবে। যদিও অনেকেই এমন আশঙ্কা করছেন, সেই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে, সেই ঢল ঠেকানোর ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে।’
এদিকে, বিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।