প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
জুলাই গণঅভুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর গঠন করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই গণঅভুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই হবে-এই অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন লাখ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের নামে পুলিশ দমন-পীড়ন চালালে আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ যোগ দিলে কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে। আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। এছাড়া আহতের সংখ্যা ২২ হাজার। চিরতরে পঙ্গু বা অঙ্গহানি হয়েছে এমন ব্যক্তি ৫৮৭। আন্দোলনে চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। এর মধ্যে ৯২ জনের দুই চোখের আলো চিরতরে নিভে গেছে।