প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
পরিবেশ উপদেষ্ট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা বিভিন্ন কথাবার্তা বলে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ভারতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ১৯ কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে এ সংবাদ ব্রিফিং হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, `বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় এবং সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ভারত মনিটর করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আমরা সার্ককে শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চাই। আমরা যে একসঙ্গে বিমসটেকে আছি সেটাও বলেছি। আমাদের বিষয়ে বিভিন্ন যে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে সেটার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।`
এক প্রশ্নের জবানে তিনি বলেন, `ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার মাধ্যমে তিনি এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ ভারতকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।`
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, `বাংলাদেশের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এগুলোর বিষয়ে ভারতের বক্তব্য হচ্ছে, তাদের সরকার কোনভাবে দায়ী না। সরকার এগুলো করছে না, এমনকি এগুলো তারা "ওউনও" করছে না। এগুলো বিভিন্ন মিডিয়া ও সংগঠনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।`
ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও ভিসার বিষয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, `ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে, তারা ভিসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন। উপ-হাইকমিশনে সহিংস আচরণের বিষয়ে আমরা আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। আজ যেহেতু তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও জোরদার করার কথা বলছেন, তাই আমরা ধরে নিচ্ছি যে, এসব ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশের অবস্থানে তারা এখনো আছে। নতুন করে এটা বলা হয়নি।`
`প্রোপাগান্ডার জবাব লিখিত ও মৌখিক বহুভাবে আমরা বলেছি। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকে সাম্প্রদায়িক দেখানোর সুযোগ কম। সেগুলো ব্যক্তিগত ও বেশিরভাগই রাজনৈতিক। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার এটার অংশ না এবং কোনো ঘটনা বরদাশত করছে না। কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,` বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, `ভারতের সচিবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে যে মেঘ এসেছে, এ মেঘটা দুর করতে হবে। আমরাও বলেছি এ মেঘটা দুর করতে হবে। একই সঙ্গে দুই পক্ষ একমত হয়েছি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আরও অনেক বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।`