প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
সংবিধান সংস্কার কমিশনের আহ্বানে ৬৯ দফা লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে নিজেদের ৬৯ দফা লিখিত প্রস্তাব পেশ করে নাগরিক কমিটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
তারা হলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সারোয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুকুল মুস্তাফিজ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা, ড. আতিক মুজাহিদ এবং সালেহ উদ্দিন সিফাত। এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তারা।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে। তাছাড়া এই সংবিধান দেখলে মনে হয় এটা আওয়ামী লীগের দলিল। এজন্য এই সংবিধান সংস্কার বা সংশোধন নয়, সম্পূর্ণ নতুন করে সংবিধান রচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, নতুন সংবিধানে কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে, এমন কোনো সুযোগ রাখতে চাই না। সংবিধানে দুবারের বেশি কোনো ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী না হওয়া এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথাও বলা হয়েছে আমাদের ৬৯ দফা প্রস্তাবনায়।
আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রত্যেক জাতিসত্তার স্বীকৃতি থাকতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকরা ‘বাংলাদেশি’ হিসাবে পরিচিত হবে। সংবিধানে গণভোটের বিধান থাকতে হবে। গণভোট ছাড়া শুধু আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশের জোরে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না।
নাগরিক কমিটির এই সদস্য সচিব বলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা কাউকে অপসারণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে না রাখার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী, তবে নিয়োগের ক্ষমতা তার হাতে থাকবে না, এমন প্রস্তাবও আমরা রেখেছি।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষে কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাইন জহির, সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মইন আলম ফিরোজি ও ইমরান সিদ্দিকি উপস্থিত ছিলেন।