প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম
বারটি শর্তে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
শর্তগুলো
হলো-
১.
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর স্থানীয়
পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন
কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের
সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে
যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ
কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহা ২০২১
(১৪৪২ হিজরি)-এর জামাত মসজিদ,
ঈদগাহ বা খোলা জায়গায়
আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে;
২.
মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের
ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের
আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিগণ
প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে
জায়নামাজ নিয়ে আসবেন;
৩.
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা
থেকে অজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং
অজু করার সময় কমপক্ষে
২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত
ধুতে হবে;
৪.
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান,
পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার
রাখতে হবে;
৫.
মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ
সাবান ও পানি রাখতে
হবে;
৬.
ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই
মাস্ক পরে আসতে হবে।
মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার
করা যাবে না;
৭.
ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর
ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই
অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে
এবং এক কাতার অন্তর
অন্তর কাতার করতে হবে;
৮.
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায়
নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামাতে
অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হলো;
৯.
সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী
বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;
১০.
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে ঈদের
জামাত শেষে কোলাকুলি এবং
পরস্পর হাত মেলানো পরিহার
করতে হবে;
১১.
করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ
থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি
তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত
করতে হবে এবং আমাদের
কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ
শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের
দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং
১২.
খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন
কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
আদেশে
আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত
শর্ত লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন
ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে।
তরিকুল/এম. জামান