• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

১২ শর্তে ঈদের নামাজের অনুমতি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম

১২ শর্তে ঈদের নামাজের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বারটি শর্তে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

শর্তগুলো হলো-

. করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর স্থানীয় পরিস্থিতি মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদুল আজহা ২০২১ (১৪৪২ হিজরি)-এর জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে;

. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন;

. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে;

. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে;

. মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান পানি রাখতে হবে

. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ টুপি ব্যবহার করা যাবে না;

. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে;

. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হলো

. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;

১০. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে;

১১. করোনা মহামারির বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং 

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত শর্ত লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তরিকুল/এম. জামান

আর্কাইভ