প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
সব রাজনৈতিক সংকট গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। ৩০ বছরের পথ পরিক্রমায় এ কাজটি করার চেষ্টা করেছে সিপিডি। এই সংলাপের মাধ্যমে সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়নের পূর্বশর্ত মানসম্পন্ন সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও কাজ করেছে সিপিডি।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান রোববার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংলাপে এসব কথা বলেন।
সিপিডির ৩০ বছর উপলক্ষে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘দ্য সিপিডি জার্নি: মেমোরেটিং থার্টি ইয়ারস অফ সিপিডি’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকালে উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের ধারণকৃত শুভেচ্ছা বক্তব্য পরিবেশন করা হয়।
অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সম্মানীয় ফেলো ড. রওনক জাহান, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিপিডির নীতি-বিশ্লেষণ ও গবেষণা কার্যক্রম দেশের সার্বিক চিন্তা কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বলে উল্লেখ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৩০ বছরের দীর্ঘযাত্রায় দেশে ও দেশের বাইরে সিপিডি একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিপিডি সব সময় স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা করেছে এবং দেশের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন এবং দারিদ্র দূরীকরণের যে চেষ্টা আমি সারা জীবন ধরে করেছি সিপিডির কাজে সব সময় তার প্রতিফলন দেখেছি।’ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সিপিডি সবসময় সচেষ্ট থেকেছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অশেষ ভূমিকা রেখেছে’।
নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সিপিডি দেশের মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি সবসময় আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে’। বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। আমি আশা করি সিপিডি অতীতের মতো বর্তমানে ও আগামীতেও তার বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান অব্যাহত রাখবে এবং দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রেখে যাবে।’