প্রকাশিত: মে ২, ২০২১, ১০:০৫ পিএম
আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২১। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর বইমেলা সময়মতো শুরু করা যায়নি।
বাংলা একাডেমির প্রত্যাশা, এ বছর মেলায় পাঁচ হাজার নতুন বই প্রকাশ হবে। বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে শতকোটিতে।
এরই মধ্যে ৭ মার্চ বাংলা একাডেমি বইমেলার স্টল বরাদ্দ দিয়েছে। তবে স্টল বরাদ্দের ক্ষেত্রে বড় ও ছোট প্রকাশকদের মাঝে বৈষম্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রকাশকরা।
করোনার কারণে এবারের বইমেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর বইমেলায় প্রবেশ করতে এবং বের হতে ভিড়ের মধ্যে বেগ পেতে হয় পাঠকদের। এ বছর পাঠক-দর্শনার্থীরা যেন শারীরিক দূরত্ব মেনে মেলায় প্রবেশ করতে পারেন, এ দিকটি বিবেচনায় রেখে বাংলা একাডেমি ও টিএসসি প্রবেশপথের সঙ্গে নতুন আরেকটি প্রবেশপথ যুক্ত করা হয়েছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিক থেকে একটি প্রবেশপথ দেয়া হোক। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর তৃতীয় প্রবেশপথ চালু করায় আমরা খুশি।
এবারের মেলায় অংশ নেয়া ৫২২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৬টি এবং বাকি স্টলগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে এ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মেলায় প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৩টি। এবারের মেলায় ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
দর্শনার্থীরা যেন ঝড়-বৃষ্টি
থেকে আত্মরক্ষা করতে পারেন, এজন্য
চারটি বড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন
করা হয়েছে। অন্যবারের মতো এবারো মেলায়
লেখককেন্দ্র এবং শিশু চত্বর
রয়েছে। তবে শিশু প্রহর
হবে কিনা এ বিষয়টি
এখনো নিশ্চিত করেনি বাংলা একাডেমি।