• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হামলার তথ্য তুলে ধরারর এক ফাঁকে অধ্যক্ষ বলেন, রাজধানীর টপ টেন কলেজের একটি মোল্লা কলেজ। এই কলেজটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবে ভাবতেও পারিনি। শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধবংস করে দিয়েছে। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

পরে কান্না সামলে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই শিক্ষক। বলেন, দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রি মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না। 

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০-৭০ কোটির মতো উল্লেখ করে অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩০০ এর উপরে ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্যা কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৬০-৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে। 

এছাড়া হামলা ও সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হছেন বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলেও দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ। 

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।। বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ