প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১২:২৯ পিএম
বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে উন্নয়ন সমতার ভিত্তিতে হয়নি বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ‘প্ল্যানিং উইক-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রাকৃতিক বন রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ বা জলাশয়ের ক্ষতিসাধন না করে উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু এই যে এত এত রিসোর্ট হয়েছে, হচ্ছে- তা কিন্তু বন বিভাগের নাকের ডগায় হচ্ছে। বনায়ন দখলের ক্ষেত্রে বন বিভাগের তদারকির অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়েরও ভূমিকা রয়েছে।
রিজওয়ানা বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সমতার ভিত্তিতে (ইকুইটি) হয়নি। জাতীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে না রেখে গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার পরিবর্তন করা হয়। পরিকল্পনাগুলোকে এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে, যা কতখানি উদ্ধার করা সম্ভব তা বলা মুশকিল।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রজেক্ট ছাড়া কোনো কাজ হয় না, কেউ করতে চায় না। কিন্তু সব সমস্যা তো প্রজেক্ট দিয়ে হবে না। হাতিরঝিলে আমরা হাঁটার রাস্তা করে দিলাম। অথচ রুমাল ছাড়া মানুষ হাঁটতে পারে না।
‘ভূমি দস্যুরা যা বলে সেই অনুযায়ী কাজ হয়। এত এত ভূমি দস্যুর কথা শুনি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ভূমি দস্যুর শাস্তি পেতে দেখিনি। আমরা সমালোচনা করতে পছন্দ করি কিন্তু নিয়ম মানতে চাই না’, যোগ করেন রিজওয়ানা।
জমি ভরাট ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না জানিয়ে তিনি বিলেন, রাজউকে গেলে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে তা কিন্তু ভাবাই যায় না! মানুষ দরুদ পড়ে রাজউকে যায়।
তাই রাজউককে কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জনমুখী করার আহ্বান জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা।
এ সময় ঢাকা শহরে গণপরিবহনের অবস্থা খুবই বাজে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পুরনো বাস রিপ্লেস করতে ৬ মাস সময় দিয়েছি। কী কী করা লাগবে তা জানতে চেয়েছি। ফিটনেসবিহীন বাস সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে পরিবহন মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছে।