প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে এই প্ল্যাটফর্মটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখপাত্র হিসেবে উমামা ফাতেমার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো। পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটিতে যারা আছেন, তারা হলেন মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি প্রকাশের পর সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে প্ল্যাটফর্মটির আহ্বায়ক লিখেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’, যাদের কাঁধে রয়েছে হাজারও শহিদের রক্তের দায় এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব। গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্ল্যাটফর্মটির শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ ও কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সদ্য গঠিত নির্বাহী কমিটির সদস্যদের হাতে যে গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে তারা গোটা জাতির আমানত রক্ষা করবেন বলে আমরা আশাবাদী। পাহাড়সম চাপ সত্ত্বেও তাদের আগামী দিনের দুর্গম পথচলা নির্ঝঞ্ঝাট হোক—এই কামনা রইল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রতি বিপ্লবী শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।