• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের ৮ দফা দাবি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ০৩:৩৩ পিএম

হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহামারি করোনাভাইরাসের শুরু থেকে সরকার কয়েকবার লকডাউন আরোপ করেছে। সময়ে বন্ধ ছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট। চাকরি হারিয়েছেন সেক্টরের কয়েক লাখ শ্রমিক। ওইসব শ্রমিকদের সংকট-সমস্যায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বেতন-বোনাস ত্রাণ-প্রণোদনাসহ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল খালেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।

ওই বিবৃততিতে দেয়া দাবিগুলো হলো- ডিসপোজিবল গ্লাস-প্লেট ব্যবহার সঠিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পালন সাপেক্ষে খাবার প্রতিষ্ঠানে বসে খাবার খাওয়া চালু করা। করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে প্রণোদনা হিসেবে মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা সরাসরি সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদান করা। হোটেল শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ মজুরি, উৎসব ভাতাসহ প্রাপ্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বকেয়া মজুরি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। মহামারি দুর্যোগের এই সময় হোটেল সেক্টরে কোনো লে-অফ, অব্যাহতি বা ছাঁটাই না করা বিষয়ে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট পরিপত্র জারি করা।

যেসব শ্রমিক ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের আইসোলেশন যথাযথ চিকিৎসার সমুদয় দায়িত্ব সরকার মালিককে বহন করা। সকল হোটেল শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন মূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা। কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ ঝুঁকি ভাতা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং করোনাকালীন সময়ে শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া মওকুফের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত প্রায় দুই বছর ধরে চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকেরা এক দুর্বিসহ অবস্থায় পড়লেও শ্রমিকদের দায়িত্ব কেউ গ্রহণ করছে না। ফলে সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনযাপন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। চলমান লকডাউনের কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ে খাতে কর্মরত শ্রমিকেরা।

প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হোটেল মালিকেরা শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান না করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। এমনকি মালিকেরা বিগত ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতাও প্রদান করেনি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা দুর্যোগের বিশেষ পরিস্থিতিতে মালিকেরা শ্রমিকদের ছুটি প্রদান করছে। ফলে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকেরা সকলেই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক মজুরিসহ অন্যান্য সুবিধার অধিকারী হলেও মালিকেরা তা প্রদান করছে না। এতে করে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকেরা অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে এক মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

মামুন/সবুজ/এএমকে

আর্কাইভ