• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১১:০৮ পিএম

ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও ব্যবসায়িক লেনদেনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

অন্য আসামিরা হলেন-ইউনাইটেড হাসপাতালের এফসিএ মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার সংশস্নষ্টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়াও গ্রেফতার সংক্রান্ত  প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

এমতাবস্থায়, সার্বিক পর্যালোচনায়, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আসামি হাসান মাহমুদ রাজা, মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ এবং  মোস্তাফিজুর রহমানদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারার অপরাধ আমলে নেওয়া হলো। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হোক। গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করার কথাও উল্লেখ করা হয় আদেশে।

এর আগে মামলাটির তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়,  ফরিদুর রহমান খান দীর্ঘ ১৫ বছর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন সময়ে ২০২০ সালের মে মাসে হাসান মাহমুদ রাজারসহ মামলার অন্য তিন আসামি ফরিদুর রহমানকে জোরপূর্বক তার পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিতে ফরিদুর রহমানের থাকা ১ লাখ ২০ হাজার ১৬৫টি শেয়ার এজাহারনামীয় আসামিরা দখল করেন। তত্কালীন সময়ে প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১ হাজার টাকা হিসেবে মোট ১২ কোটি  ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আসামিরা কোন টাকা দেননি। এরপর থেকে ফরিদুর রহমান খানের শেয়ারের পাওনার বিপরীতে লভ্যাংশ না দিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাত্ করা হয়।

এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফরিদুর রহমান খানকে অবহিত না করে ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট ইউনাইটেড হাসপাতালের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদুর রহমান খান ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান রাজাসহ চার জনের মামলা দায়ের করেন। 

আর্কাইভ