• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা থামবে না: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৯:১১ পিএম

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা থামবে না: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্রুততম সময়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার শেষে নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেক কাজ সারতে হবে। এ ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে এ প্রশ্ন আপনাদের সবার মনেই আছে। আমাদের মনেও সারাক্ষণ আছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তারপর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সব দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।’ 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হাল নাগাদসহ আরও কিছু কাজ শুরু করে দিতে পারবে, যা একটি অবাধ নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’ 

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা মনে করি না যে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের দায়িত্ব শেষ। রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার আমাদের এ সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আপনারাই আমাদের এ ম্যান্ডেট দিয়েছেন।’ 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে আগামীতে রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও পেয়ে যাবেন।’ 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে একটি হলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশনের সুপারিশমালা অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্ল্যাটফর্মে যান। আপনার মতামত খোলাখুলিভাবে তুলে ধরুন। আপনি দেশের মালিক। আপনি বলে দিন আপনি কি চান। কীভাবে চান।’ 

ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সব বক্তব্য বিনা দ্বিধায় বলতে থাকুন। সবার মনের কথা তুলে ধরুন। আমার অনুরোধ, সংস্কারের কথাটাও একইসঙ্গে বলুন। সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। নির্বাচনের কথা বলার সঙ্গে নির্বাচন ও অন্য ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাটিও বলুন। সংস্কার হলো জাতির দীর্ঘমেয়াদি জীবনী শক্তি। সংস্কার জাতিকে বিশেষ করে আমাদের তরুণ-তরুণীদের নতুন পৃথিবী সৃষ্টির সুযোগ দেবে। জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দলগুলো এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য, সে কমিশন হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশমালার কোন অংশ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তার ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে। সমান্তরালভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়াও চলতে থাকবে।’

আর্কাইভ