• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এবার পাস করবে তো নগর পরিবহন সেবা?

সেবা না থাকলেও স্বাক্ষী হয়ে থাকে বাস স্টপেজ আর যাত্রী ছাউনি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম

সেবা না থাকলেও স্বাক্ষী হয়ে থাকে বাস স্টপেজ আর যাত্রী ছাউনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা মহানগরীতে বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় হরহামেশাই খেসারত দিতে হয় যাত্রী-পথচারীর সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনকে। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন বা নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে একটি রুটে বাস চালানোর প্রকল্প নেয় সরকার।

কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশেষায়িত বাস সার্ভিস-নগর পরিবহন সেবা। রুট রেশনালাইজেশন নিয়ে একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাস মালিক-সিটি কর্পোরেশন আর সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহনকে জনবান্ধব ও শৃঙ্খলায় ফেরাতে এর বিকল্প নেই।

পরীক্ষামূলকভাবে মোহাম্মদপুর থেকে ঘাটারচর পর্যন্ত চালু করা হয় নগর পরিবহন। তিন বছর আগে চালু হওয়া এই সেবার আর দেখা মিলছে না এখন।

তবে সেবা না থাকলেও, এর স্বাক্ষী হয়ে আছে কিছু বাস স্টপেজ আর যাত্রী ছাউনি। একই রুটে এক কোম্পানির বাস চালানোর নীতিও মেনে চলা হয়নি। এমনকি লেগুনা বন্ধে অভিযানের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

নগর পরিবহন চালু করার দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের। বলা হয়ে থাকে, বাস মালিকদের চাপেই বাস্তবায়ন করা যায়নি রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক চলাচল। যদিও এ অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতের ট্রেজারার এহসান আহমেদ খোকন বলেন, আমাদের যাত্রীরা এখনও সচেতন হয়নি। এটা যতক্ষণ না যাবে ততক্ষণ সুষ্ঠু গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন হবে। আমরা চাই মালিক এবং শ্রমিক সবাই তার ন্যায্য পারিশ্রমিক পাক। 

তবে প্রথম পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কথা স্বীকার করলেন রুট রেশনালাইজেশনে সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার। 

তিনি বলেন, ২০টা বাস, তার মালিক হচ্ছে ২৫ জন। তাদের মধ্যে ঝামেলা, ব্যবসায় মনোযোগ নেই। আরেকটা হচ্ছে, অবৈধ বাস ঢুকে যাওয়া। তখন তারা বলতে শুরু করলো তাদের লস হচ্ছে।

তবে যেভাবেই করা হোক না কেন অনেক উন্নত শহরে সরকারি মালিকানাতেই চলে নগর পরিবহন সেবা। সে পথেই হাঁটার পরামর্শ পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।

তিনি বলেন, পুরাতন যে বাসগুলো ছিল, যাদের রুট পারমিট নাই সেগুলো রেখে আমরা এ প্রকল্প চালাতে চেয়েছি। কিন্তু এটি ব্যর্থ হয়েছে এবং এটা স্বাভাবিক ছিল। এজন্য একটা কোম্পানি গঠন করতে হবে এবং সেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে পুরোপুরি। না হলে এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে না।

ঢাকা শহরে চলাচলকারী বাসের মালিকদেরকেও, ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার পরামর্শও এই বিশেষজ্ঞের।
 

আর্কাইভ