প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেল থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা পড়ছে। কোথাও কোথাও তাণ্ডব চালাচ্ছে দমকা বাতাস। আজ বুধবারও (৬ নভেম্বর) বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। কার্তিকের শেষের দিকে এসেও এমন পরিস্থিতির কারণ কী?
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘মঙ্গলবার দুপরের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে তার প্রধান কারণ হলো পশ্চিমা লঘুচাপ। ৫ ও ৬ নভেম্বর যে বৃষ্টিপাত হবে সেই পূর্বাভাস তো পাঁচদিন আগ থেকে দিয়ে আসছি। আজ দিনের পূর্বাভাসেও উল্লেখ করেছি। খুব শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম শুরু করেছে মঙ্গলবার থেকে। এর প্রভাবে বুধবারও দেশের বিভিন্ন বিভাগে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।’
পশ্চিমা লঘুচাপ কী? এ বিষয়ে পলাশ লিখেন, ‘আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় লঘুচাপের নাম হলো ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স। পশ্চিমা লঘুচাপ হলো সাব-ট্রপিক্যাল (প্রায় ২০ থেকে ৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ) ওয়েস্টারলি (ভূমি থেকে পাঁচ কিলোমিটার থেকে শুরু করে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহ) জেটের মধ্যে আটকে পড়া উচ্চ গতিবেগের বায়ুপ্রবাহ যা ভূ-মধ্যসাগরের ওপর সৃষ্টির পর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে পৌঁছে হিন্দুকুশ, কার্যক্রম এবং পশ্চিম হিমালয়ের ওপর শীতকালে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটায়।’
তিনি আরও লিখেন, ‘শীতকালে প্রতি বছর গড়ে ছয় থেকে সাতটি শক্তিশালী ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স বা পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে। ভারত ও বাংলাদেশের ওপর শীতকালে বৃষ্টিপাতের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী এই পশ্চিমা লঘুচাপ। এখানে উল্লেখ্য যে লঘুচাপটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রমের পরের সপ্তাহেই দেশব্যাপী কুয়াশা ও শীত পড়া শুরু হয়।’