প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
সব ধরনের ভ্যাট, কর, আয়কর ও শুল্ক কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দ্রুততম সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আয়কর তথ্যসেবা মাস-২০২৪’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এনবিআরের কমপ্রিহেনসিভ ডিজিটালাইজেশন প্ল্যান করছি। এ লক্ষ্যে ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স, কাস্টমসসহ এনবিআরের অধীনে সব কার্যক্রমকে আমরা অটোমেশনের আওতায় আনব। ধীরে ধীরে শুরু হলেও আমরা দ্রুততম সময়ে এই ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ করব। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
‘এজন্য আমরা আলাদা গ্রুপ তৈরি করেছি,তারা দিনরাত কাজ করছে আমাদের আইনের যে অসঙ্গতিগুলো রয়েছে সেগুলো ঠিক করা যায় সে ব্যাপারে। একই সঙ্গে আলাদা গ্রুপ তৈরি করেছি ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স ও কাস্টমসের অটোমেশন নিয়ে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করব। তারপর আরও বৃহৎ পরিসরে প্রকল্প নিয়ে বিষয়টিকে বাস্তবায়ন করব,’ বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তবে ডিজিটাইলাইজেশনের এ কাজ দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ডিজিটাইলাইজেশনের কাজ বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। এমনকি নিজের পুরো চাকরির মেয়াদ এ কাজে শেষ হয়ে যেতে পারে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে আর কাগজের রিটার্ন জমা নেয়া হবে না। ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিজীবীসহ বেশ কয়েকটি পেশার জন্য অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা খুবই সহজ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মাত্র কয়েকটি ক্লিকে অনলাইনে দেয়া যাবে রিটার্ন। পাশাপাশি অনলাইনে রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হচ্ছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এরমধ্যেই এই ডিজিটাল প্রক্রিয়া খুব ভালোভাবে কাজ করছে। সহজেই জমা দেয়া যাচ্ছে ই-রিটার্ন।
এছাড়া করদাতারা ই-রিটার্ন কার্যক্রমের প্রতি দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিদিনই ই-রিটার্ন জমা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। শেষের দিকে রিটার্ন দাখিল আরও বাড়বে।
তবে অনলাইনে আয়করদাতাদের দেয়া তথ্যের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতাদের তথ্য এনবিআরের আমানত। এসব তথ্যের গোপনীয়তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। এনবিআরের কাছে থাকা এসব তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এই প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন, তারা নিজেরাও তা দেখতে পারবেন না-এভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই সফটওয়্যার। পাশাপাশি এক সার্কেলে কর দিলে ওই সার্কেল ছাড়া অন্য কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া করদাতাদের ই-রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি শেখাতে সচিবালয় ও এনবিআর ভবনে আলাদা প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি অনলাইন টিউটোরিয়াল দেয়া হবে বলেও জানান আবদুর রহমান খান।