প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া নকল প্রসাধনী ব্যবহারে দিন দিন স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলছে। তাই মানুষকে বাঁচাতে নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর গণমাধ্যমে ‘নকল প্রসাধনীতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রি করা একদিকে যেমন ক্রেতার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, অন্যদিকে এসব ব্যবহারের ফলে চর্মরোগ, স্কিন ক্যানসার, কিডনি রোগসহ বন্ধ্যাত্বের মতো নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ তা উৎপাদন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা আবশ্যক।
প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় জানা যায় যে, সুদৃশ্য মোড়কে নামি-দামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন বাজার ও সুপার মার্কেটে। নকল ও অবৈধ এসব প্রসাধনীর কারবারে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব প্রসাধনী ব্যবহার করে প্রতারিত হয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে ভোক্তাসাধারণ।
নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের সদস্যসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের উপযুক্ত প্রতিনিধির সমন্বেয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে কমিশনকে জানানোর জন্য মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশের অনুলিপি কার্যার্থে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার এক ধরনের মানবাধিকার যা কিছু স্বার্থান্বেষী ও অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীর কারণে ও যথাযথ তদারকির অভাবে বিঘ্ন হতে পারে। নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার নিশ্চিত করার জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের একাধিক সংস্থা সম্পৃক্ত হলে বৃহৎ পরিসরে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।’