প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ১০:০৯ এএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতিরোধে আজ রোববার থেকে প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়েছে সেনাবাহিনী। এসব ক্যাম্প থেকে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন সেনাসদস্যরা।
এরআগে একটি সুপার শপে ডাকাতির ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযানে নামে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যৌথ ওই অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের অন্তত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযান শেষে রাত ১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ এ অভিযানে ছিনতাই করা অবস্থায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের ৪০ জনের মতো সদস্যকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
আটকদের অনেকের হাতে ট্যাটু ছিল। এরমধ্যে কারও কারও হাতে ডাবল স্টার খোঁচানো ট্যাটুও দেখা গেছে। একেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একেক ধরনের ট্যাটু ব্যবহার করে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
মেজর নাজিম আহমেদ জানান, মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দুই-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে। যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
সেনাবাহিনী জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ ১৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ২৬১ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গুলি, একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮০টির মতো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি সুপার শপ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, ডাকাতদলের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রায় একই সময়ে কাছের আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা নিয়ে যায় তারা। ওই ঘটনার পর শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী।