প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
সব রাজনৈতিক দলকে নিয়েই প্রথমে সরকার গঠন করতে চেয়েছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতারা। তবে কিছু দলের সম্মতি না পাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।
এক ফেসবুক পোস্টে বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ৮ দিবস বাতিল কিংবা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও এই উপদেষ্টা পরিষদ অকপটে নিয়েছে, যাদেরকে অনেকেই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারন করে না বলে অপবাদ দিচ্ছেন। অন্যদিকে প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে (রাষ্ট্রপতি) সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ কিংবা সমঝোতায় যাওয়ার মতো ধৃষ্টতা আগেও দেখাইনি, ভবিষ্যতেও দেখাবো না। এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর মতো আপোষকামী মনোভাব রাখলে আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনা হোক, পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কাউকে বিব্রত করা কিংবা তা করতে গিয়ে নিজেকে খেলো করা দুঃখজনক।
আসিফ বলেন, ৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে অভ্যুত্থানের পরের রোডম্যাপ হিসেবে ৫টি পয়েন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল এই একাউন্ট থেকেই। সেখানেই অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রথম অভিপ্রায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দই দেখিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু এরপর এ সরকারকে ‘এনজিও সরকার’ তকমা দিয়েছে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পরও সমালোচনা করেছে বিএনপিসহ আরও কয়েকটি দল। রাষ্ট্রপতিকে অপসারনের ব্যাপারেও মত দিচ্ছে না বিএনপি। ৭ মার্চসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের পর বিশিষ্ট সাংবাদিকসহ অনেক বুদ্ধিজীবী এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন। এর প্রেক্ষিতেই মূলত এই পোস্ট দিলেন আসিফ মাহমুদ।