• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বিসর্জনে সাঙ্গ দুর্গতিনাশিনীর বন্দনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

বিসর্জনে সাঙ্গ দুর্গতিনাশিনীর বন্দনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামী বছরের অপেক্ষায় থেকে দুর্গতিনাশিনী দেবীকে দেবালয়ে বিদায় জানালেন ভুবনের বাসিন্দারা।

ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় দেবীর নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তার সাঙ্গ হল বিজয়া দশমীতে। এবার তিথির কারণে মহানবমী পূজার পরই শনিবার দশমীর বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ কারণে শনিবারই বিজয়া দশমীর পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দুর্গতিনাশিনীর কাছে অশুভ শক্তির বিনাশের প্রার্থনা শেষ করেছেন ভক্তরা। আর রোববার কেবল দেবী দুর্গার প্রতিমা আনুষ্ঠানিকভাবে বিসর্জন হচ্ছে।

রীতিনুযায়ী, রোববার চট্টগ্রামের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে তেল, সিঁদুর আর পান-চিনিতে অশ্রু সজল নয়নে বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবছরের মতো এবারও বিসর্জনের প্রধান স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।

পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট, অভয়মিত্র ঘাট এবং বিভিন্ন এলাকার পুকুরেও দেওয়া হয়েছে বিসর্জন। তবে বৈরী আবহাওয়ার জন্য এবছর পতেঙ্গা সৈকতে অনেকে না গিয়ে কর্ণফুলী নদীতে বিসর্জন সম্পন্ন করেছেন।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল ১০ টা থেকে বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে পূজার্থীরা প্রতিমা বিসজর্নে আসতে শুরু করেছেন।

“বিসর্জন ঘিরে সৈকত ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিসর্জনের জন্য সৈকত এলাকায় ৪০০ পুলিশ, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত আছে।"

নিরাপত্তার জন্য সৈকত এলাকার দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান উপ কমিশনার শাকিলা।

এদিকে নিরাপদে বিসর্জনের কাজ শুরু করতে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম তৈরি রাখা হয়েছে সৈকতে।

বিভিন্ন এলাকার পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে পতেঙ্গা সৈকতে বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে আসছেন। বিসর্জন দেখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও সৈকতে আসছেন।

কোতোয়ালী থানার ফজলুল কাদের জানান, ফিরিঙ্গি বাজার ব্রিজ ঘাটেও প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে। বিসর্জন উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে আলোক সজ্জ্বারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজা শেষে মর্ত্য ছেড়ে নিজালয়ে যাত্রা করেন দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয় ত্রিনয়নীর পূজা।

শাস্ত্রীয় মতে এবার দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে সপরিবারে মর্ত্য লোকে এসেছেন দোলায় চড়ে। আর ফিরে যাচ্ছেন ঘোড়ায়।

বাঙালি হিন্দুদের মতে, দেবী দুর্গা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের দেবী। একই সাথে তিনি ‘মাতৃরূপেণ’, ‘শক্তিরূপেণ’। গত ২ অক্টোবর মহালয়ার দিন সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের, আগামী ১৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দেবী পক্ষ।

আর্কাইভ