প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ১২:২৪ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও এগিয়ে নিয়ে যাবে । ছয়টি কমিশনের পাশাপাশি আরও অনেক কমিশন হবে।
আজ শনিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এদিন বিকেল আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সংলাপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ ধরনের সংলাপ বা কথাবার্তা চলমান থাকবে।
স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও আইন উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডে বিএনপি অসন্তোষ জানিয়েছে, নতুন করে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, সরকারের উপদেষ্টারা প্রত্যেকেই যার যার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ মূল্যায়নের জন্য জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা বলার জন্য তাদেরকে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন।
সংলাপে সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের কীভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায় এ ব্যাপারে সরকার শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে দোসরদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। গণহত্যায় আমাদের অবস্থান ছিল যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, গণহত্যার মূল ক্রীড়নক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনিসহ যারাই জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে দলগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী মাহফুজ আলম বলেন, প্রথম পর্বের আলোচনা হয়েছে। ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত জানতে চাওয়া হয়েছে। সবাই সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে দঢ় মত পোষণ করেছেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মাহফুজ আলম।
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মাহফুজ আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, পাঁচটি সংস্কার কমিশন ঘোষণা হয়েছে, আরেকটি এক দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা হবে। প্রধান উপদেষ্টা তার বিশেষ সরকারী এবং অন্য দুজন উপদেষ্টা সংলাপে ছিলেন। তারা অবহিত করেছেন যে, কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে পলিটিক্যাল পার্টি, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবে। তিন মাসের মধ্যে কমিশন তাদের রিপোর্ট দেবে। ওই রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর সরকার পলিটিক্যাল পার্টি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে আবার কথা বলবে। পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে একটি কনসেন্সসাসে আসবে, মিনিমাম কনসেন্সসাস কতটুকু। রিফর্মের ব্যাপারে একটি কনসেন্সসাসে আসবে। এর উপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ আপনি যতটুকু রিফর্ম করবেন, ততটুকু করতে কত সময় লাগছে সেটি দেখার বিষয়।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এর মধ্যেই ইলেকশনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। ইলেকশনের যে প্রস্তুতি, ইলেকশন কমিশন ফর্মেশন এসব কাজ এগিয়ে যাবে। তাই এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না।