প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
একমাত্র জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে বিএনপির গণসমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তারেক রহমান নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানান।
তিনি বলেন, এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতি সেদিনও আমাদের সমর্থন ও আস্থা ছিল, আজও আছে। তবে এখানে একটি কিন্তু রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের আস্থাকে প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতনের এই মহা সময়ে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষের অবদানকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনার গুম, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার জনতার অবদানকে যদি স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, আমরা আজ এমন একটা পরিবেশে সমবেত হয়েছি যেখানে কারো কোন ভয় নেই। সকলে আমরা শংকামুক্ত পরিবেশে একত্রিত হয়ে কথা বলছে পারছি। আমরা আমাদের কথা বলার জন্য একই সাথে আমরা অন্যের কথা শোনবার জন্য একত্রিত হয়েছি। অথচ মাত্র ক’দিন আগেও এই দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে কথা বলতে পারতো না। বিগত ১৬ বছর ধরে আমরা আমাদের কষ্টের কথাও স্বাধীন ভাবে বলতে পারতাম না। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা হয়েছিল।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ঝিনাইদহ জেলায় জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন যাদেরকে আমরা হারিয়েছি। মিরাজুল, দুলাল ও পলাশসহ বহু মানুষকে হারিয়েছি। ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনেও এই জেলার মানুষ সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। দেশের মানুষ গত ৫ আগস্ট এই স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়েছে। জনগণের আন্দোলনের মুখে যে স্বৈরাচার জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের কৃতিত্ব।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যে মানুষগুলো আন্দোলনে গিয়েছে, যে মানুষগুলো সবকিছু উজাড় করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও জীবনবাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছে। তাদের এই আত্মত্যাগ সেদিনই সফলতা লাভ করবে, যেদিন এ দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। সেদিনই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহতথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও মুন্সি কামাল আজাদ পাননু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।