প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ০৭:২৭ পিএম
এডিস মশার লার্ভা
নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি
করপোরেশনের (ঢাদসিক) ৬ জন আঞ্চলিক
নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) ও করপোরেশনের সম্পত্তি
বিভাগের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানকালে
ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহ ২২০টি ভবন ও নির্মাণাধীন
স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২১টি
ভবনে সর্বমোট ২১ মামলায় ৪ লাখ ১৭
হাজার টাকা জরিমানা আদায়
করেন।
রোববার
(১১ জুলাই) করপোরেশনের ২-৫, ৯
ও ১০ নম্বর অঞ্চলের
আনিকবৃন্দ ও সম্পত্তি বিভাগের
দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর বনশ্রী, আগামসি লেন, সেগুনবাগিচা আরামবাগ,
বকশিবাজার, বিবির বাগিচা, ছনটেক, দক্ষিণ দনিয়া, এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা
করা হয়।
অঞ্চল-২এর আনিক সুয়ে
মেন জোর তত্ত্বাবধানে করপোরেশনের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ও
ইরফান উদ্দিন আহমেদ অঞ্চল-২এর আরামবাগ, সেগুনবাগিচা
ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ১১
নং ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা ও আরামবাগ এলাকায়
৫০টি ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরামবাগের ৭২
নং হোল্ডিংয়ের অগ্রণী ব্যাংকের নিমাণাধীন ভবনকে ১ লাখ ও
আরেকটি নির্মাণাধীন ভবনকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান
উদ্দিন আহমেদ আজ বনশ্রী, দক্ষিণ
বনশ্রী, ফরাজি হাসপাতালের পেছনে ‘এ ব্লক’ থেকে ‘ই ব্লক’ পর্যন্ত এলাকায় ৪৫টি ভবন পরিদর্শন
করেন। এ সময় ৩টি
ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায়
এবং ১টি ভবনে পানি
জমা থাকতে দেখায় সর্বমোট ৪ মামলায় ১
লাখ ১৫ হাজার টাকা
অর্থদণ্ড আরোপ করেন।
অঞ্চল-৩এর আনিক বাবর
আলী মীর ২৭ নম্বর
ওয়ার্ডের বকশিবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে তিনি ১৫টি স্থাপনা
পরিদর্শন করেন এবং উমেষ
দত্ত রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে
মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৫ হাজার টাকা
জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৪এর আনিক মো.
হায়দর আলী ৩৩ নং
ওয়ার্ডের আগামসি লেনের ৪৪ নং হতে
৬৩ নং হোল্ডিংয়ের ২১টি
বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন
পরিদর্শন করেন। এ সময় ৫২/এ নম্বর ও
৫৭ হোল্ডিং নম্বরের ভবন ও ভবনের
রিজার্ভ ট্যাংকে মশার লার্ভা পাওয়ায়
মোট ৯০ হাজার টাকা
জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৫এর আনিক মোহাম্মদ
সাখাওয়াত হোসেন সরকার ৪৮ নং ওয়ার্ডের
বিবির বাগিচা এলাকায় ১০টি বাড়ি ও
নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় দুটি ভবনে
লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৩০
হাজার টাকা জরিমানা আদায়
করেন।
অঞ্চল-৯এর আনিক মো.
খায়রুল হাসান ছনটেক, ইশা খাঁ ও
শেখদি এলাকায় ৩০টি নির্মাণাধীন ভবন
পরিদর্শন করেন। এ সময় ৫টি
নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা
পাওয়ায় ৫ মামলায় ১৩
হাজার টাকা জরিমানা আদায়
করেন।
অঞ্চল-১০এর আনিক মোহাম্মদ
মামুন মিয়া দক্ষিণ দনিয়া
এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে আদালত ৪৯টি স্থাপনা পরিদর্শন
করেন এবং ১৪১৭ নং
হোল্ডিংয়ের শাপলা কুঁড়ি স্কুলসহ মোট ৫টি ভবনে
মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৪ হাজার টাকা
জরিমানা আদায় করেন। এ
ছাড়াও ১৪টি বাড়ির মালিককে
ছাদে জমে থাকা পানি
ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ
দেন।
তরিকুল/এম. জামান