• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

করোনা নিয়ন্ত্রণে ঈদের আগে শিথিল, পরে জারি হবে জরুরি অবস্থা

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ০৪:১৩ পিএম

করোনা নিয়ন্ত্রণে ঈদের আগে শিথিল, পরে জারি হবে জরুরি অবস্থা

তরিকুল ইসলাম সুমন

সারা দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। অবস্থায় সরকারিভাবে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে। অপরদিকে, নতুন করে আরও দুই সপ্তাহের লকডাউন বৃদ্ধিরও সুপারিশ রয়েছে কারিগরি কমিটির। পবিত্র ঈদুল আজহা এবং দরিদ্র মানুষের কথা বিবেচনা করে লকডাউনের পরিবর্তে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তবে ঈদের আগে পরে আট দিন শিথিল থাকবে। পরে দেশব্যাপী কঠোর বা জরুরি অবস্থা জারি করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঈদের সময় বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল থাকবে মানুষের আবেগের কথা চিন্তা করে। তবে পবিত্র ঈদুল আজহায় হাট-বাজারগুলোতে গরু বিক্রি, সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু, দোকানপাট খোলা রাখাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি নতুন করে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউন বাড়াতে বলেছে। তারপরও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে শিথিল করার।

শনিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোভিড-১৯এর দ্বিতীয় ঢেউ করোনা প্রতিরোধ মোকাবিলায় মাঠপর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্ব কমিটি গঠন করেছে। কমিটি জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি, চিকিৎসাবিষয়ক পরামর্শ সহায়তা প্রদান, ভ্যাকসিন প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ সহায়তা করবে।

ছাড়াও ঈদের সময় লকডাউন শিথিল করার পাশাপাশি দোকানপাট মার্কেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যাতে ব্যবসায়ী, গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অন্যান্য পেশার মানুষ আনন্দে উৎসব করতে পারেন।

বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সম্প্রতি জানান, সব কিছুই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। গত ঈদে মানুষ যেভাবে বাড়িতে গেছে তার প্রভাব আমরা দেখেছি। তাই এবারের ঈদটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তা চিন্তার বিষয়। এখনও মনিটরিং চলছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি এবং ঈদকে সামনে রেখে এখনই জরুরি অবস্থা জারি না করে ঈদের আগে পরে চার দিন করে আট দিন লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হবে। আট দিন পার হলে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। ক্ষেত্রে সংক্রমণ ১২ হাজারের বেশি হলেই জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি চিন্তায় রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত শতাংশের নিচে থাকলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত ৩০ শতাংশের বেশি হচ্ছে।

এই লকডাউনে অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ্যাব এবং আনসার। মাঠে কাজ করছেন মোবাইল কোর্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলেই জেল বা জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরও জানায়, বিষয়ে দুই দিন পর্যালোচনা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কবে থেকে লকডাউন শিথিল করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।

তরিকুল/এম. জামান

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ